Monday 20 July 2015

নুসরাতের গল্প



আজ আমার আর নুসরাতের বিবাহ বার্ষিকী। এটা আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। এ পর্যন্ত নুসরাতকে নিয়ে যা লিখেছি। সবই ছিলো ২০১৪ সালের প্রেক্ষাপট। ২০১৪ সালের ঠিক ঈদের দুই দিন পর আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের পরিবারের সম্মতিতেই আমাদের বিয়েটা হয়। আমার আর নুসরাতের রিলেশনের ব্যাপারে ওর মা আর আমার মা জানতো। ঈদে বাসায় যাওয়ার পর নুসরাতের বাবা জেনে যায়। এবং আমার সাথে কথা বলতে চায়। আমার সাথে কথা বলে নুসরাতের সাথে আমার বিয়ের কথা বলে ওর বাবা। কারণ এখন কার সময় ভালো না। আর আমাদের এ বয়সটা খুব খারাপ যে কোন সময়ে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তার জন্য। আমার বাসা থেকেও কোন আপত্তি ছিলো না। আমাদের বিয়ে হওয়া এক বছর হয়ে গেল। আমি এখন ই.বি. তে সি.এস.ই. তে ফাইনাল ইয়ারে। আর নুসরাত ২য় বর্ষে কুষ্টিয়া মেডিকেলে। এখন আমি সিরাজগঞ্জ। মানে নুসরাতের বাবার বাসায়। ঈদে শ্বশুর বাড়িতে ভালোই লাগে। নুসরাতে বাবা মার একমাত্র মেয়ে। ওর একটা ছোট ভাই আছে এবার এইটে পড়ে। আমার শালা বাবুটা বিশাল দুষ্টু। এতক্ষণ আমাকে জ্বালাতন করছিলো। অবশ্য জ্বালাতন নয় একমাত্র দুলাভাইয়ের সাথে একটু ইয়ার্কি ফাজলামি না করলে কেমন হয়?? আমিও বিষয়টা ইনজয় করছিলাম। তবে আমার শালা বাবুকে থামাতে হলে আমার ল্যাপটপ অথবা ফোনে গেম খেলতে দিলেই সন্তুষ্ট। একটু আগে ল্যাপটপ হাতে দিয়ে বিদায় করলাম । এখন আমি নুসরাতের কোলের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে শুয়ে লিখছি। আর ও আমার চুলগুলো নেড়ে দিচ্ছে। খুবই ভালে লাগছে। যে কোন সময় ঘুমিয়ে পড়বো। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই। যেন এভাবেই চলতে পারি সারা জীবন।